সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

জয়পুরহাটে  নির্মাণাধীন মাউরিতলা ব্রিজের বিকল্প ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে  নির্মাণাধীন মাউরিতলা ব্রিজের বিকল্প ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো 

গত কয়দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে  ভেসে আসা কচুরিপানা ও অন্য আবর্জনা সাঁকোর খুঁটিতে আটকিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মাণাধীন মাউরিতলা ব্রিজের বিকল্প  কাঠের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

তীব্র স্রোতে খুঁটির নিচের মাটি সরে যাওয়ার কারণে কাঠের ব্রিজটির মাঝখানে দেবে গেছে।  এছাড়া স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ও আবর্জনা খুঁটিতে আটকিয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিকল্প সাঁকোটি। এতে করে  ঝুঁকি নিয়েই ওই সাঁকো দিয়েই চলাচল করছে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে বলে মনে করছেন পথচারীরা।

জানা যায়, ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি অতিক্রম করে এসে পাঁচবিবি শহরের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর বড় মানিক নামক স্থানে ৬০ এর দশকে ব্রিজটি  নির্মাণ করা হয়। যা মাউরিতলা ব্রিজ নামে পরিচিত। 

ব্রিজটি চলাচলের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে ফেলে এবং চলতি বছরের শুরুতে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ৯০.০৬ মিটার দৈর্ঘ্য নতুন ব্রিজ নির্মাণ শুরু করেন।  

ব্রিজ নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ, ভ্যান-রিক্সা ও মটরসাইকেল ও পারাপারের সুবিধার্থে ব্রিজ নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান  বাঁশ-কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করেন। কিন্তু গত তিনদিনের একটানা বৃষ্টির কারণে এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের তীব্র স্রোতে  সাঁকোর বাঁশের খুঁটির গোড়ার মাটি সরে গিয়ে মাঝখানে দেবে গেছে। কারণে জন সাধারণের চলাচলে ঝুঁকি হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। 

তবে  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে  কয়েকজন শ্রমিক সাঁকোয় আটকে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণ করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করছেন। ইউএনও আরিফা সুলতানা বলেন, সাঁকোটি  যেন ক্ষতির মুখে না পরে সেজন্য প্রকৌশল বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জয়পুরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিন বলেন, সাঁকোটি জনসাধারণের চলাচলে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হচ্ছে।

টিএইচ